Binance ফিউচার্স ট্রেডিং: স্বল্প সময়ের বিরতির পর আবার চালু — কী হলো, আপনার করণীয়
1) কী ঘটেছিল?
২০২৫ সালের আগস্ট 29 তারিখে Binance স্বল্প সময়ের জন্য ফিউচার্স ট্রেডিং বন্ধ করেছিল একটি টেকনিক্যাল সমস্যার কারণে। পরে সমস্যাটি সমাধান করে সব ফিউচার্স মার্কেট আবার চালু করা হয়।
2) কোন সেবাটি প্রভাবিত হয়েছিল?
সমস্যাটি ছিল মূলত Futures UM (USDⓈ-Margined/Unified Margin) অংশে—যেখানে USDT/USDC এর মতো স্টেবলকয়েনে মার্জিন ও সেটেলমেন্ট হয়।
3) এখন অবস্থা কী?
Binance জানিয়েছে, সমস্যা সমাধান হয়েছে এবং সব ফিউচার্স ট্রেডিং স্বাভাবিকভাবে চলছে।
---
4) ট্রেডারদের জন্য তাৎক্ষণিক করণীয় (চেকলিস্ট)
1. ওপেন পজিশন রিভিউ করুন – সাইজ, এন্ট্রি, লিকুইডেশন প্রাইস ঠিক আছে কি না দেখুন।
2. স্টপ-লস/টেক-প্রফিট রিসেট – আগের অর্ডারগুলো ঠিকঠাক আছে কি না নিশ্চিত করুন (কখনও কখনও আউটেজে কন্ডিশনাল অর্ডার ট্রিগার হয়নি/হয়েছে—দেখে নিন)।
3. ফান্ডিং/ফি লগ চেক – আউটেজ চলাকালে অস্বাভাবিক চার্জ হয়েছে কি না যাচাই করুন।
4. অর্ডার হিস্টোরি ও PnL এক্সপোর্ট – প্রমাণ হিসেবে স্টেটমেন্ট ডাউনলোড করে রাখুন।
5. সাপোর্ট টিকিট – যদি ক্ষতি বা অর্ডার এক্সিকিউশনে সমস্যা মনে হয়, টাইমস্ট্যাম্প/স্ক্রিনশটসহ টিকিট দিন (রেজোলিউশন/কমপেনসেশন এক্সচেঞ্জের নীতির ওপর নির্ভরশীল)।
---
5) ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা (আগামি দিনে নিরাপদ থাকার স্টেপ)
1️⃣ ক্রিপ্টো ট্রেডিং – কম দামে কয়েন কিনে বেশি দামে বিক্রি। 2️⃣ Futures & Margin Trading – লিভারেজ দিয়ে বড় ট্রেড (ঝুঁকি বেশি)। 3️⃣ Binance Earn – কয়েন স্টেক করে মাসে সুদের মতো ইনকাম। 4️⃣ Launchpool & Launchpad – নতুন কয়েন ফ্রি রিওয়ার্ড পাওয়া যায়। 5️⃣ Referral Program – রেফারেল লিঙ্ক দিয়ে কমিশন আয়। 6️⃣ P2P Trading – সরাসরি ইউজারদের সাথে ক্রিপ্টো কেনা-বেচা। 7️⃣ Mining Pool – মেশিন দিয়ে কয়েন মাইন (বড় ইনভেস্টমেন্ট দরকার)।
⚠️ সতর্কতা – Binance এ আয় সম্ভব, তবে ঝুঁকিও আছে। জ্ঞান ছাড়া বড় ইনভেস্ট করবেন না। ছোট থেকে শুরু করুন, ধীরে ধীরে বাড়ান।#TrumpTariffs #SOLTreasuryFundraising $BNB
আজকের (29 বা 30 আগস্ট 2025) ক্রিপ্টো খবর এবং সতর্কবার্তা
1. Pump-and-Dump এবং বাজার প্রতারণা বাড়ছে
ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারে জনপ্রিয় স্কিমগুলোর একটি হল pump-and-dump—যেখানে কিছু ব্যক্তি বা গ্রুপ হাইপ তৈরি করে ধৈর্যহীন বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করেন, তারপর দাম উঁচুতে পৌঁছালে বিক্রি করে ক্ষতি করিয়ে যায়। এটির ধাপগুলো হল: ১. প্রথমে একটি কম ট্রেডেড কয়েন বাছা হয়। ২. সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বা নিউজ চ্যানেলে হাইপ ছড়ানো হয়। ৩. পরিস্থিতি আয়ত্তে আসলে অনেক মানুষ কিনতে শুরু করে—দামের দ্রুত উত্থান ঘটে। ৪. পরবর্তী পর্যায়ে, মূল চালকেরা বিক্রি শুরু করে—দাম মুহূর্তে ভেঙে পড়ায় বিনিয়োগকারীরা বিশাল ক্ষতির মুখে পড়ে।
2. পাম্প ও হাস-ট্রেডিং (Wash trading) বাড়ছে
Wash trading হলো এমন একটি কৌশল—যেখানে কোনো ব্যক্তি বা বট একাধিকবার একই কয়েন কিনে ও বিক্রি করে, যেন আর্থিক গতিবিধি আছে তা দেখায়, আসলে বাজারে কোনো বাস্তব অংশগ্রহণ নেই। এতে বিনিয়োগকারীরা প্রতারিত হন।
3. ব্যাংক, রেগুলেটর ও সামাজিক মিডিয়া ভয়াবহ ঝুঁকি সৃষ্টি করছে
যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিপ্টো মার্কেট অনুমোদিত ও ব্যয়বহুল হওয়ার কারণে, Trump প্রশাসন “crypto capital” গড়ার পরিকল্পনা করছে—যার ফলে বিনিয়োগকারীদের জন্য ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে ইম্প্রোম্পট (meme) কয়িন ও সেনসেশনাল হাইপের কারণে দাম প্রবলভাবে ওঠা-নামা করছে।
4. প্রচুর ক্রিপ্টো স্ক্যামের প্রভাব
FBI রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ক্রিপ্টো স্ক্যাম থেকে ক্ষতি হয়েছে ৫.৬ বিলিয়ন ডলার—যা আগের বছরের তুলনায় ৪৫% বৃদ্ধি। জনপ্রিয় স্ক্যামগুলো অন্তর্ভুক্ত: ফিশিং, Ponzi, rug pulls, এবং pump-and-dump স্কিম।